Sports Time
অপেক্ষাটা আর মাত্র সপ্তাহ খানেকের। নানা শঙ্কা আর প্রতিবন্ধকতাকে পাশ কাটিয়ে বিশ্বকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত টোকিও। প্রস্তুত অলিম্পিকের ৩২তম আসরের স্বাগতিক হতে। ৪২টি দৃষ্টিনন্দন স্টেডিয়ামে ৫০টি ডিসিপ্লিনে যেখানে ৩৩৯ স্বর্ণের জন্য লড়বেন প্রায় ১ হাজার ১৫০ জন অ্যাথলিট। এরইমধ্যে শেষ হয়েছে প্রতিটি ভেন্যুর কাজ, এখন চলছে সাজসজ্জা। টোকিও অলিম্পিকের ভেন্যুগুলো নিয়ে থাকছে আমাদের এবারের প্রতিবেদন।
টোকিও য়ে ইয়োকোসো। সৌন্দর্য আর উদারতার শহর টোকিওতে আপনাকে স্বাগতম। পাখির চোখে অলিম্পিক ভেন্যু। যেন প্রযুক্তি আর উৎকর্ষতার দারুণ সংমিশ্রণ।
শুরু থেকেই আসরে করোনা চোখ রাঙিয়েছে বারবারই তবে জাপানিজরা ছিল অবিচল। তাইতো আসর শুরুর আগেই, ৪২টি স্টেডিয়ামের সবগুলোই প্রস্তুত অ্যাথলিটদের আতিথ্য দিতে।
উদ্বোধনী-সমাপনী, অ্যাথলেটিক্স আর নারী ফুটবল হবে এই ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। দর্শক প্রবেশের অনুমতি না থাকলেও কার্পণ্যতা থাকছে না জাঁকজমকতায়।
ন্যাশনাল স্টেডিয়ামের গাঁ ঘেষেই ইয়াগি-রায়াগো-মেট্রোপলিট্টন-নিপ্পন আর ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম অ্যারেনা। সবগুলোরই কাজ শেষ হয়েছে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে। এখানে হবে হ্যান্ডবল-বক্সিং-টেবিল টেনিস-জুডো-কারাতে-ওয়েটলিফটিংয়ের পদকের নিষ্পত্তি। এই জোনটাকে বলা হচ্ছে হ্যারিটেজ জোন।
টোকিওর বে জোনে ১৫টি স্পোর্টসের জন্য প্রস্তুত ১৩টি ভেন্যু। বিখ্যাত ইমেনোসিমা পার্কে পদকের জন্য লড়বেন বাংলার আর্চার রোমান ও দিয়া। এছাড়া অ্যারিয়াকে অ্যারেনায় ভলিবল, করাসিয়া-মু কম্পেক্সে টেনিস, আর অ্যারিয়াকে জিমনেস্টটিক্স সেন্টারে হবে জিমনেস্টটিক্সের প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
অলিম্পিকের ভিলেজের ৮ কিলোমিটার দূরে আউটলাইং ভেন্যু। যেখানে ১৬টি স্টেডিয়ামে হবে ১৬ ইভেন্ট। ক্যাম্প আসাকায় শ্যুটিং, ফরেস্ট প্লাজায় ব্যাডমিন্টন, মডার্ন ফেন্সিং, ইয়োকোহামায় বেসবল, সফ্টবল আর সাইতামায় হবে বাস্কেটবল। তবে সবার দৃষ্টি থাকবে টোকিও স্টেডিয়ামে যেখানে হবে ফুটবল ইভেন্টের শুরুর ম্যাচগুলো। এই মাঠেই হবে রাগবিও।
গ্রুপ পর্বের ম্যাচ বাদ দিলে ফুটবল হবে আরও ৬ স্টেডিয়ামে। ছেলেদের কোয়ার্টার ফাইনাল আর ফাইনাল হবে ইয়োকোহামা স্টেডিয়ামে।
এর বাইরেও তিনটি স্টেডিয়ামকে রাখা হয়েছে ব্যাকআপ। ২৩ জুলাই পর্দা উঠছে অলিম্পিকের ৩২তম আসরের।
0 মন্তব্যসমূহ
If you have any doubts. Please let me know